নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামাল সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সন্মুখে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন।
এসময় অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস. শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর অনুসারীরা তাকে ধাওয়া করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দ শহীদুল হক জামাল দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান্থ কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ধাওয়া দেয় প্রতিপক্ষরা। এসময় তাকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালও করা হয়। পরে সিনিয়র নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। সংস্কার পন্থির অপবাদে দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসনে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালকে সম্প্রতি দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি ১৯৯১,২০০১ ও ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বের বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসন থেকে বিএনপির টিকিটে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সংস্কারপন্থীর অভিযোগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে বরিশাল-২, পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। মুরগী মার্কা নিয়ে ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হতে না পারলেও তার প্রার্থীতার কারণে বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটে। এরপর তাকে ওইসব আসনের নেতাকর্মীরা তাকে মুরগী জামাল খেতাব দেয়। সম্প্রতি জামালকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই মনোনয়ন নিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়েন ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস. শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তার অনুসারীদের মাঝে। তাদের অভিযোগ দলের দুঃসময়ে কোথায় ছিলেন শহীদুল হক জামাল।
Leave a Reply